সুনামগঞ্জ , শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫ , ১১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
আওয়ামী ফ্যাসিবাদী শক্তি দেশে নানাভাবে প্রবেশ করার চেষ্টা করছে : আখতার হোসেন রাজা যায় রাজা আসে কিন্তু সুনামগঞ্জবাসীর ভাগ্য পরিবর্তন হয় না : হাসনাত আবদুল্লাহ মুজিববাদ বাংলাদেশে চলবে না : নাহিদ ইসলাম এনসিপি’র পদযাত্রা ও পথসভা সুনামগঞ্জকে মডেল জেলায় উন্নীত করা হবে কোটি টাকার ভারতীয় শাড়ি-লেহেঙ্গা জব্দ মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি : নিহত বেড়ে ৩৩, হাসপাতালে ৫০ জন স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক থাকছে না সংশোধিত অধ্যাদেশ জারি : সরকারি কর্মচারীরা আন্দোলন করলে বাধ্যতামূলক অবসর শান্তিগঞ্জে ইনসেপশন সভা অনুষ্ঠিত মাইলস্টোন ট্র্যাজেডিতে নিহতদের স্মরণে প্রার্থনা সাচনাবাজারে নতুন রাস্তা নির্মাণের দাবি আগামীর স্বপ্ন, প্রত্যয় ও পরিবর্তনের বার্তা দিবেন নেতৃবৃন্দ সুনামগঞ্জে এনসিপির পদযাত্রা শুক্রবার, লক্ষ্য ১৫ হাজার মানুষের সমাবেশ ঘটানো ১৫ লক্ষ টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ জগন্নাথপুরে শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ মাইলস্টোনের বাতাসে পোড়াগন্ধ দোয়ারাবাজারে দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১ আমরা ভালো শিক্ষার্থীর পাশাপাশি ভালো শিক্ষকও চাই : জেলা প্রশাসক জলমহাল লুট ঠেকাতে প্রশাসনের দ্বারে মৎস্যজীবীরা মাইলস্টোন স্কুলে বিমান ট্র্যাজেডি নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩১

সংশোধিত অধ্যাদেশ জারি : সরকারি কর্মচারীরা আন্দোলন করলে বাধ্যতামূলক অবসর

  • আপলোড সময় : ২৫-০৭-২০২৫ ০৯:৪৮:১০ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৫-০৭-২০২৫ ০৯:৪৮:১০ পূর্বাহ্ন
সংশোধিত অধ্যাদেশ জারি : সরকারি কর্মচারীরা আন্দোলন করলে বাধ্যতামূলক অবসর
সুনামকণ্ঠ ডেস্ক :: সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর দ্বিতীয় সংশোধিত অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে। গত ২৩ জুলাই আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব ড. হাফিজ আহমেদ চৌধুরীর স্বাক্ষরে অধ্যাদেশটি জারি করা হয়। সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর অধিকতর সংশোধনকল্পে প্রণীত এই অধ্যাদেশ সরকারি চাকরি (দ্বিতীয় সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ নামে অভিহিত হবে। নতুন সংশোধিত অধ্যাদেশ অনুযায়ী কোন সরকারি কর্মচারী আন্দোলনে গেলে, অর্থাৎ নিজে নিয়ম লঙ্ঘন করে একজন সরকারি কর্মচারী আরেকজন সরকারি কর্মচারীর কাজে বাধা দিলে বা তাকে তার কাজ থেকে বিরত রাখলে, তাকে বাধ্যতামূলক অবসরসহ চাকরি থেকে বরখাস্ত করা যাবে। সাধারণত সরকারি কর্মচারীরা নিজেরা কোন আন্দোলন করলে নিজেও কাজ থেকে বিরত থাকে এবং অন্যজনকেও কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য চাপ দেয়। অধ্যাদেশে সরাসরি আন্দোলনের কথা বলা না হলেও যেভাবে ইঙ্গিত করা হয়েছে, তাতে আন্দোলনকে বুঝায় বলে আইনজীবীদের অভিমত। নতুন অধ্যাদেশের ৩৭ এর (গ) তে বলা হয়েছে, যে কোনো সরকারি কর্মচারীকে তাহার কর্মে উপস্থিত হতে বা কর্তব্য স¤পাদনে বাধাগ্রস্ত করেন, তাহলে তা হবে সরকারি কর্মে বিঘœ সৃষ্টিকারী অসদাচরণ এবং তজ্জন্য তিনি উপ-ধারা (২) এ বর্ণিত যেকোনো দ-ে দ-নীয় হবেন। আর উপ-ধারা (২) এ বলা হয়েছে, (২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত কোনো কর্মের জন্য কোনো সরকারি কর্মচারীকে নি¤œবর্ণিত যেকোনো দ- প্রদান করা যাবে, যথা:- (ক) নি¤œপদ বা নি¤œবেতন গ্রেডে অবনমিতকরণ; (খ) বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান; এবং (গ) চাকরি হতে বরখাস্ত। অধ্যাদেশে বলা হয়, যেহেতু নিুবর্ণিত উদ্দেশ্যসমূহ পূরণকল্পে, সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ (২০১৮ সনের ৫৭ নং আইন) এর অধিকতর সংশোধন সমীচীন ও প্রয়োজনীয় এবং যেহেতু সংসদ ভেঙ্গে যাওয়া অবস্থায় আছে এবং রাষ্ট্রপতির নিকট তা সন্তোষজনকভাবে প্রতীয়মান হয়েছে যে, আশু ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় পরিস্থিতি বিদ্যমান আছে; সেহেতু গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৩ (১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি নি¤œরূপ অধ্যাদেশ প্রণয়ন ও জারি করলেন। এটা অবিলম্বে কার্যকর হবে। সংশোধিত অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, ২০১৮ সনের ৫৭ নং আইনের ধারা ৩৭ক এর সংশোধন। সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ সনের ৫৭ নং আইনের এর ধারা ৩৭ক এর পরিবর্তে নি¤œরূপ ধারা ৩৭ক প্রতিস্থাপিত হবে। ৩৭(ক) তে বলা হয়েছে, সরকারি কর্মচারীদের আচরণ ও দ- সংক্রান্ত বিশেষ বিধান। (১) এই আইন বা এই আইনের অধীন প্রণীত বিধিমালায় যা কিছুই থাকুক না কেন, যদি কোনো সরকারি কর্মচারী (ক) ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বৈধ আদেশ অমান্য করেন, আইনসংগত কারণ ছাড়া সরকারের কোনো আদেশ, পরিপত্র এবং নির্দেশ অমান্য করেন বা তা বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত করেন বা এই সকল কার্যে অন্য কোনো সরকারি কর্মচারীকে প্ররোচিত করেন, অথবা (খ) ছুটি বা যুক্তিসংগত কোনো কারণ ব্যতীত অন্যান্য কর্মচারীদের সহিত সমবেতভাবে নিজ কর্ম হইতে অনুপস্থিত থাকেন বা বিরত থাকেন, অথবা (গ) যেকোনো সরকারি কর্মচারীকে তাহার কর্মে উপস্থিত হইতে বা কর্তব্য স¤পাদনে বাধাগ্রস্ত করেন, তাহলে তা হবে সরকারি কাজে বিঘœ সৃষ্টিকারী অসদাচরণ এবং তজ্জন্য তিনি উপ-ধারা (২) এ বর্ণিত যেকোনো দ-ে দ-নীয় হবেন। অধ্যাদেশের ৩ এ বলা হয়েছে, (৩) যেক্ষেত্রে কোনো সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত কোনো অসদাচরণের জন্য কার্যধারা গ্রহণ করা হয়, সেক্ষেত্রে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ অথবা এতদুদ্দেশ্যে তৎকর্তৃক, সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি, অভিযোগ গঠন করবেন এবং সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মচারীকে, অতঃপর অভিযুক্ত ব্যক্তি বলে অভিহিত, কেন এই ধারার অধীন দোষী সাব্যস্তপূর্বক দ- আরোপ করা হবে না এই মর্মে ৭ (সাত) কার্যদিবসের মধ্যে যথাযথভাবে কারণ দর্শাইবার নোটিশ প্রদান করবেন এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত হয়ে শুনানি করতে ইচ্ছুক কি-না ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি তাও উক্ত নোটিশে উল্লেখ করবেন। অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি কর্তৃক প্রদত্ত আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে না। তবে এরূপ ক্ষেত্রে দ-প্রাপ্ত কর্মচারী দ- আরোপের আদেশ প্রাপ্তির ৩০ (ত্রিশ) কার্যদিবসের মধ্যে ধারা ৩৬ অনুযায়ী উক্ত আদেশ পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) জন্য রাষ্ট্রপতির নিকট আবেদন করতে পারবেন এবং রাষ্ট্রপতি যেরূপ উপযুক্ত মনে করবেন, সেইরূপ আদেশ প্রদান করবেন। অধ্যাদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, অধ্যাদেশের (১২) উপ-ধারা (১০) ও (১১) এর অধীন, যথাক্রমে, আপিল ও রিভিউ এ প্রদত্ত আদেশ চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স
মুজিববাদ বাংলাদেশে চলবে না : নাহিদ ইসলাম

মুজিববাদ বাংলাদেশে চলবে না : নাহিদ ইসলাম